জেলা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ঝালকাঠি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সাইনবোর্ড খুলে খাবার হোটেলের সাইনবোর্ড টানিয়েছে মালিকপক্ষ। সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিএনপি কার্যালয়ের আসবাবপত্র। এ নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনসহ নানা মহলে গুঞ্জন উঠেছে। দলের ভেতরেই অভিযোগ উঠেছে, ঝালকাঠি-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া এক নেতার নির্দেশে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে জেলা বিএনপির কার্যালয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিএনপি নেতা।
গত ১০ বছর ধরে ঝালকাঠি শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে একটি পাকা দালানের নীচ তলায় ভাড়ার চুক্তিতে জেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয় হিসেবে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের পর গত শুক্রবার মালিকপক্ষ জেলা বিএনপির সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলে। সরিয়ে নেয়া হয় বিএনপি অফিসের আসবাবপত্রও। আর সেখানে মালিকপক্ষ আরাফাত হোটেল নামে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া ঝালকাঠি-২ আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে বিএনপির অনেকেই অভিযোগ করেছেন। তবে বর্তমানে কারাগারে অবস্থান করা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির পর নতুন কার্যালয় নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতারা।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হয় ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়ার সাথে। তিনি দাবী করেছেন, চুক্তি শেষ হওয়ায় মালিক পক্ষের চাহিদার কারণেই অফিস ঘর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন রয়েছে, জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে।